নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য ছড়ানো এক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে যাচ্ছে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি এখন গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে সরকার।
আজ (শুক্রবার) দুপুর ৩টার কিছু আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সম্প্রতি স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও সাধারণ জনগণ। বিষয়টি সরকার গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সরকারের বিবৃতিতে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, "আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা সরকার গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।"
সরকার আরও জানিয়েছে, এরইমধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার প্রস্তুতির কথাও জানানো হয়।
এছাড়া প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশগমনের ঘটনায় জনমনে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা সম্পর্কে সরকার সচেতন এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও জানানো হয়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!