BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
আজকের দিনে ইরান ও ইসরায়েলকে পরস্পরের চরম শত্রু হিসেবে দেখা হলেও, একসময় এই দুই দেশ ছিল ঘনিষ্ঠ মিত্র। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়—রাজনৈতিক, সামরিক এবং গোয়েন্দা সহযোগিতায়ও একসময় পাশে ছিল তারা। কিন্তু ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর পরিস্থিতি এমনভাবে বদলে যায়, যে বন্ধুত্ব রূপ নেয় চরম শত্রুতায়।একসময় মিত্র, এখন চিরবৈরিইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫০ সালে তুরস্কের পর ইরানই ছিল দ্বিতীয় মুসলিম দেশ, যারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। তখনকার ইরানের শাহ সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল, আর সে কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে।ইরান যখন ১৯৫৭ সালে নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থা সাভাক গঠন করে, তখন ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সরাসরি সহযোগিতা করে। সেই সময়কার ইরান-ইসরায়েল সম্পর্ক ছিল কৌশলগত এবং গভীর।বিপ্লব বদলে দেয় সমীকরণ১৯৭৯ সালে আয়াতুল্লাহ খোমেনীর নেতৃত্বে ইরানে ঘটে ইসলামি বিপ্লব। নতুন সরকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে এবং তেহরানে ইসরায়েলের দূতাবাসকে রূপান্তর করে ফিলিস্তিনি দূতাবাসে। এখানেই ভাঙন শুরু।