BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
ঝিনুকের খোসার তিনটি স্তরের মধ্যবর্তী স্তর হইতে প্রস্তুত।প্রুভার:- মহাত্মা হানেমান সহ মোট ২৬ জন প্রুভার প্রুভিং করেন।গঠন:- গৌরবর্ণ, বেশ মোটাসোটা, নাদুস নুদুস, থপথপে চেহারা, হাড়গুলি বেশ শক্ত নয়, মাংস বেশী, মোটা হইবার ধাতু, মাথা ও পেট বড়, ঘাড় চিকন। আবার শীর্ণকায় লোকও ক্যালকেরিয়াতে আছে তবে তাদের মাথাটি বড়, পেটটি ঘটির মত থাকেই থাকে।কারণ:- ঠান্ডা স্যাঁৎসেতে স্থানে দাড়াইয়া থাকার ফলে বা ঠান্ডা পানিতে দাঁড়াইয়া কাজ করার ফলে, যারা ঠান্ডা কাদা লইয়া কাজ করে তাদের প্র¯্রাব না হলে। অতিরিক্ত পরিশ্রম, উদ্বেগ, ভয়, অপুষ্টি, এলকোহল, বার্ধক্য। তরল পদার্থের ক্ষয় হেতু। ঘাম, উদ্ভেদ অথবা মাসিক ¯্রাব চাপা দেওয়ার হেতু। চাপ, ভার বহন উত্তেজিত হইবার ফলে কোন রোগ দেখা দিলে ক্যালকেরিয়া তাতে উপযোগী।মানসিক লক্ষণ:- ক্যালকেরিয়ার রোগী ভীতু, অনেক রকমের ভয় প্রকাশের মাধ্যমে সে রক্ষা পেতে চায়, নিজেকে রক্ষা করার জন্য সে তার চারদিকে অনেক মানুষ রাখে। ক্যালকেরিয়া কার্বনিকা মানুষেরা খুব একটা বাহিরে বের হয় না, জীবনে কোন দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নিতে চায় না, এরা বরং নিজের বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে এমন সব মানুষকে বেছে নেয় যাদের উপর সে নির্ভর করিতে পারে, যাহারা সুরক্ষক। একজন ক্যালকেরিয়া কার্বের রোগী অন্য একজনকে সম্পূর্ণ ভাবে বিশ্বাস করে, যারা সাধারণতঃ চিকিৎসা নিবার জন্য বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে আসে। সরাসরি কখনই প্রশ্নের উত্তর দেয় না, উত্তরগুলো তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিসফিস করে বলে, এমনকি একজন সামর্থ্য ক্যালকেরিয়া কার্বও সাধারণতঃ আত্মীয়-স্বজন সাথে নিয়ে আসে।তারা যেভাবে বর্ণনাগুলো দেয়- আমার আশেপাশে যখন সবাই থাকে তখন আমি সুখী। এতে বোঝা যায় তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য আশেপাশে লোক থাকা প্রয়োজন। ক্যালকেরিয়ার শিশুরা খুব জেদি হইতে পারে এমনকি আক্রমণাত্মকও হইতে পারে, তবে এই আচরণগুলো শুধু নিজের বাড়ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ, বিশেষ করে মা-বাবার সাথে। বাহিরে তারা যথেষ্ট লাজুক, ভীতু, ভদ্র ব্যবহার করে। রূঢ় ব্যবহার এবং তিরস্কারের প্রতি সংবেদনশীল, নিষ্ঠুরতার কোন ঘটনা শুনে বা দেখে ক্যালকেরিয়া উদ্বিগ্ন হয়।। টেলিভিশনে দুর্ধর্ষ বা ভৌতিক দৃশ্য দেখে ক্যালকেরিয়া শিশুরা হয় রুম থেকে চলে যাবে বা চোখ বন্ধ করে রাখবে। এদের মধ্যে রোগ যন্ত্রণার তীব্র ভয়, চিকিৎসককে ভয় বিশেষ করে দাঁতের ডাক্তারের প্রতি, ইনজেকশনে ও অপারেশনের ভয়, বড় হইবার পরেও এদের মধ্যে এই ভয় পাওয়া যায়।১৯৭৬ সালে এথেন্সে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলার সময় বিখ্যাত হোমিওপ্যাথ ডাঃ পাসেরো বলেন- মেটেরিয়া মেডিকার সবগুলো ভয় ক্যালকেরিয়া কার্বের মধ্যে আছে; যদি রোগীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভয় থাকে তখন সম্ভবত ওষুধটি ক্যালকেরিয়া। যাই হোক, এইসব ভয়ের যে কোন একটির সাথে যদি এরকম একটা আচ্ছন্নকর ভয় থাকে যে- অন্যরা তার মানসিক অবস্থা বুঝে ফেলতে পারে, তবে তা একান্ত ভাবেই ক্যালকেরিয়া নির্দেশ করে, যদি রোগীর মধ্যে এই লক্ষণটি থাকে তবে তা যথেষ্ট শক্তিশালী কীনোট। এমনকি যদি সেইখানে অতিরিক্ত অন্য কোন ভয়ের লক্ষণ না থাকে বা শারীরিক ভাবে কোন রোগ লক্ষণ এবং কোন হ্রাস বৃদ্ধিও না থাকে তবু ক্যালকেরিয়া নির্দেশিত ওষুধ।