চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে হঠাৎ করে পানি বাড়তে শুরু করেছে। টানা বর্ষণ ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় নদীর পানি বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে নিশ্চিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এই হঠাৎ জোয়ারে হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গা, কৃষ্ণপুর, লামচরি, উত্তর চর ভৈরবী, পাড়াবোগুলা এবং জালিয়ার চরসহ একাধিক গ্রামের বাড়িঘরের আঙিনা, হাঁটাচলার রাস্তা ও কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে করে এসব এলাকার মানুষজন অস্থায়ী দুর্ভোগে পড়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষাকালে পানি বাড়ার ঘটনা নতুন নয়, তবে এবারের মতো এত দ্রুত এবং এতটা উচ্চতায় পানি ওঠা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পানচাষি ও মাছচাষিদের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেড এলাকাতেও জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল হক বলেন, “গত দুই বছরে এর চেয়ে বেশি পানি বৃদ্ধি দেখা যায়নি। হাইমচরসহ জেলার বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। তবে ভাটার সময় থেকে পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করবে বলে আমরা আশা করছি।”
স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!