স্মার্ট এনআইডি কার্ড সরবরাহে ঘাটতি কাটাতে নতুন করে ২ কোটি ৩৬ লাখের বেশি ‘ব্ল্যাংক কার্ড’ আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে এই মাসেই ফ্রান্সে যাচ্ছেন একজন নির্বাচন কমিশনার ও প্রকল্প পরিচালক। তারা সেখানে গিয়ে কার্ডের গুণগত মান যাচাই করবেন।

ইসি সূত্র জানায়, আগামী অক্টোবর থেকেই প্রতি মাসে নির্ধারিত পরিমাণ কার্ড দেশে আসা শুরু হবে। এতে নাগরিকদের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রমে নতুন গতি আসবে।

বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ৬৩ লাখ। এর মধ্যে ৮ কোটি ৮৭ লাখ ১৩ হাজার স্মার্ট কার্ড মুদ্রিত হয়েছে, যা উপজেলা পর্যায়ে প্রায় ৮৪ শতাংশ বিতরণ সম্পন্ন। তবে এখনও প্রায় ৪ কোটি নাগরিক তাদের কার্ডের অপেক্ষায় আছেন।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “সব নাগরিকের হাতে কবে নাগাদ কার্ড পৌঁছাবে তা এখনই বলা মুশকিল, তবে আমরা চেষ্টা করছি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিককে এ বছরের মধ্যেই দিতে।”

তিনি আরও জানান, “সরবরাহ ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করতে কাজ চলছে। আশা করছি, বছরের শেষ নাগাদ প্রায় ৮০ শতাংশ নাগরিকের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে যাবে।”

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ শুরু হয়। তবে দরপত্র জটিলতা, বৈদেশিক মুদ্রার ওঠানামা ও প্রযুক্তিগত কারণে প্রকল্পে ধীরগতি দেখা দেয়।

বর্তমানে শুধুমাত্র ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ভোটারদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হচ্ছে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য লেমিনেটেড কার্ড বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতে ১৬ বছর বয়সীদের জন্যও এনআইডি প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘদিনের স্মার্ট কার্ড সংকট দূর হবে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন।