নিজস্ব প্রতিবেদক
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেছে দেশের অন্যতম গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এই প্রস্তাব ১৯৭৪ সালের ‘জুলাই আন্দোলনের’ চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটি সমাজে চরম বৈষম্য তৈরি করবে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, “যদি কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ থাকে, তাহলে মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষদের জন্য প্লট কিংবা ফ্ল্যাট কেনা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। এতে সমাজে বৈষম্য বাড়বে।”
তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলন হয়েছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে। এবারের বাজেটেও সে প্রত্যয় রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাব সেই চেতনার একেবারে বিপরীত। এটা সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করবে এবং তাদের নৈতিকতার ওপর আঘাত হানবে।”
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, “অপ্রদর্শিত আয়কে বৈধতা দেওয়ার মাধ্যমে কেউ চাইলে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনতে পারবে। শুধু বিশেষ হারে কর দিলেই চলবে। কিন্তু এই ব্যবস্থার ফলে যারা সৎ পথে আয় করে তাদের পক্ষে আবাসন খাতের চড়া দামে কোনো সম্পদ কেনা অসম্ভব হয়ে উঠছে। ফলে অপ্রদর্শিত অর্থ সমাজে বৈষম্যের বড় উৎস হয়ে উঠছে।”
তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “আমরা বহুবার বলেছি, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বন্ধ করা উচিত। এটা নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এই ধরনের প্রস্তাবকে আমরা সমর্থন করি না এবং এটির প্রত্যাহার চাই।”
সিপিডির মতে, প্রস্তাবিত বাজেট যদি সত্যিকার অর্থে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়ে থাকে, তবে কালো টাকা সাদা করার মত সুযোগের কোনো স্থান সেখানে থাকতে পারে না।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!