BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
দশকের পরবর্তী ডাকসু নির্বাচনে ২০১৯ সালের বিতর্কিত ঘটনার ছাপ মুছাতে না পারায় এবারও বহু প্রার্থী উদ্বিগ্ন। প্রার্থীদের অভিযোগ—উপাচার্য অধ্যায়ের পর আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্ট নিয়োগে গতকালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কাজ করেছে; ফলে বিশেষ কিছু প্রভোস্ট যদি হল সংসদ নির্বাচন বাস্তবায়ন কমিটিতে দায়িত্বে থাকেন, তাহলে নির্বাচনী অনিয়ম বা “ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং”-র আশঙ্কা থেকে যায়। এসব অভিযোগ ইতিমধ্যেই ডাকসু নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা পড়েছে।প্রার্থীরা বলছেন, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যেসব প্রভোস্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাতে অনেকে সরাসরি রাজনৈতিকভাবে সংযুক্ত — ফলে তারা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবেন না। ফলে তাদের নিজ নিজ হলের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে রাখা হলে পক্ষপাতিত্ব এবং অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়বে। অনেক প্রার্থীই দাবি করেছেন: প্রভোস্টদের ভোটকেন্দ্র বা কমিটি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সিনিয়র শিক্ষকদের রাখা উচিত।হল সংসদ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি সম্প্রতি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিগুলোতে সাধারণত হলের সভাপতি (অর্থাৎ প্রভোস্ট) ও অন্যান্য সদস্যদের নাম রয়েছে — কিন্তু প্রার্থীরা এটিকে ‘স্বার্থের সংঘাত (Conflict of Interest)’ হিসেবেই দেখছেন। স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী আশিকুর রহমান জীম ভেনু নির্বাচন কমিটির গঠন পুনর্বিবেচনার জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, “প্রভোস্টরা তাদের পছন্দমতো লোক অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি গঠন করছেন; এতে নির্বাচন স্বচ্ছ হবে না। আমরা দিচ্ছি—নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে পুনরায় কমিটি গঠন করা হোক।”