আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাংকের ঋণখেলাপিরা প্রার্থী হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে রাজনীতিকদের অর্থের বিনিময়ে মনোনয়ন বা ভোট দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ না হলে কেবল অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া যথেষ্ট হবে না বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
আজ বুধবার সচিবালয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘ইউ পেনশন’ মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রচলিত আইনেই (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২, অনুচ্ছেদ ১২) ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা রয়েছে। কিন্তু আদালতের স্টে অর্ডারের কারণে এই আইনের প্রয়োগে জটিলতা তৈরি হয়। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, “মহীউদ্দীন খান আলমগীর ঋণখেলাপি হয়েও পাঁচ বছর পার করেছেন।”
কালোটাকা নিয়ন্ত্রণে সরকার কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এখনো বিষয়টি আমাদের কাছে আসেনি, এটি নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করবে। কালোটাকার দুটি দিক আছে—উৎস ও প্রক্রিয়া। উৎস আগের তুলনায় অনেকটা বন্ধ হয়েছে, এখন চেক অ্যান্ড ব্যালান্স ব্যবস্থা চালু আছে।”
এ সময় তিনি রাজনৈতিক সংস্কৃতির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। নির্বাচন কমিশনের উচিত ঋণখেলাপিদের শনাক্ত করা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সহযোগিতা করা।”
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!