ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলের রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রামের খুদে নারী ফুটবলারদের অনুপ্রেরণা দিতে পাশে দাঁড়িয়েছে কিশোর আলো পরিবার। একাডেমির খেলোয়াড়দের জন্য বৃত্তি, উপহার ও উৎসাহ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে মাঠে হাজির হন কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক।

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রামের জঙ্গলবিলাশ মাঠে মঙ্গলবার সকালটা ছিল উৎসবমুখর। রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমির খুদে ফুটবলারদের প্রশিক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছান কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক ও তাঁর সহকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির পরিচালক তাজুল ইসলাম, কোচ সুগা মুরমু, প্রথম আলোর দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলা বন্ধুসভার সদস্যসহ কিশোর আলো পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
‘যত দূর যেতে চাও তত দূর তোমার’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে কিশোর আলোর ১২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এতে ৪০ জন খুদে খেলোয়াড় অংশ নেয়। পরে ফুটবলভিত্তিক খেলাধুলা, নৃত্য পরিবেশনা ও উপহার বিতরণের আয়োজন করা হয়। খেলোয়াড়দের হাতে তুলে দেওয়া হয় বৃত্তি, টি–শার্ট এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী।
আয়োজকেরা জানান, রাঙ্গাটুঙ্গীর এই মেয়েরা ইতিমধ্যে দেশব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিশোর আলো পরিবার ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকবে। অনুষ্ঠানে আনিসুল হক খেলোয়াড়দের হাতে বৃত্তির প্রথম কিস্তির টাকা তুলে দেন।
জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার সোহাগী কিসকু বলেন, ‘কিশোর আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এত কিছু উপহার পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।’
খুদে ফুটবলার জবা রানী রায় বলেন, ‘এই বৃত্তি আমাদের বড় ফুটবলার হতে অনুপ্রেরণা দেবে।’
একাডেমির পরিচালক তাজুল ইসলাম জানান, খেলোয়াড়দের বেশিরভাগই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সন্তান। এই বৃত্তি তাদের পুষ্টি ও খেলাধুলায় সহায়ক হবে।
কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, ‘গ্রামাঞ্চল থেকে উঠে আসা এই মেয়েরা প্রমাণ করেছে, সুযোগ পেলে তারাও আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় হতে পারে। কিশোর আলো তাদের পাশে থেকে সুযোগ করে দিতে চায়।’
তিনি জানান, একাডেমির ৭০ জন খেলোয়াড়ের জন্য মাসে ৪০০ টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে। এই বৃত্তি প্রদান করবেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য রুবানা হক। আয়োজনের স্পনসর ছিলেন মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সোহেলা হোসেন। পাশাপাশি সেনোরা কোম্পানির পক্ষ থেকে কিশোরীদের জন্য উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!