ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলায় জব্দ করা পাসপোর্ট, মোবাইল ও আইপ্যাড ফেরত চেয়ে আবেদন করেছিলেন মডেল মেঘনা আলম। আবেদন নামঞ্জুর করায় আদালতে অঝোরে কেঁদে ফেলেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালতে হাজির হন মেঘনা আলম। এ সময় তার আইনজীবীরা জব্দ করা মোবাইল, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট ফেরতের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আদালতের বাইরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে মেঘনা আলম বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে। তারা আমাকে সবার সামনে অপমান করছে। আদালতে যদি মিথ্যা বলা হয়, তবে ন্যায়বিচার কীভাবে মিলবে?’ এরপর তিনি অঝোরে কাঁদতে থাকেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মহসিন রেজা অভিযোগ করেন, ফরেনসিক রিপোর্ট ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করা হচ্ছে। তার দাবি, জামিন পাওয়ার পর দুই মাস পার হলেও ফরেনসিক সম্পন্ন হয়নি, যা বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করছে।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হারুনুর রশিদ জানান, তদন্ত কর্মকর্তা জব্দকৃত মোবাইল, ল্যাপটপ ও পাসপোর্ট ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। মেঘনা আলম এখনো পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় রিপোর্ট সম্পন্ন হয়নি। এ অবস্থায় পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হলে তিনি বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল বাসা থেকে আটক হন মেঘনা আলম। পরদিন বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিনের জন্য আটকাদেশ দেওয়া হয়। পরে ২৮ এপ্রিল কারামুক্তির পর থেকে তিনি জামিনে রয়েছেন। প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় রিমান্ড ও কারাগারে পাঠানোর আদেশ হয়েছিল।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!