রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদের বাসায় প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা আদায়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। চাঁদাবাজির এই মামলায় গ্রেফতার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) বহিষ্কৃত নেতা রিয়াদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ১৭ জুলাই দিবাগত রাতে গুলশানে অভিযানের নামে পুলিশের সঙ্গে বাসার সামনে গিয়ে অবস্থান নেন রিয়াদ ও তার সহযোগীরা। তখন শাম্মী আহম্মেদ বাসায় না থাকায় ফিরে আসেন তারা। কিন্তু পরদিন সকালে "এয়ারপড ফেরত দেওয়ার" ও "পানি খাওয়ার" নাম করে রিয়াদ ও জানে আলম অপু ফের বাসায় ঢুকে হুমকি দেন সাবেক এমপির স্বামীকে।
পরে ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হলেও তাৎক্ষণিক ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। সেই টাকা রিয়াদ ও অপু সমান ভাগে ভাগ করে নেন বলে আদালতে স্বীকার করেন রিয়াদ। এরপর ২৫ জুলাই বাকি টাকা নিতে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রিয়াদসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। অপু তখন পালিয়ে যান।
আদালতে রিয়াদের স্বীকারোক্তি
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে রিয়াদ বলেন, “পুলিশকে বিভিন্ন সময় ‘ফ্যাসিবাদী’ লোকজন ধরতে সাহায্য করেছি।” তিনি জানান, ছাত্র সংগঠন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সিনিয়র সহসভাপতির মাধ্যমে ডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে গুলশানে অভিযানের উদ্যোগ নেন।
রাত ২টার দিকে থানায় গেলে ওসি বলেন, এত রাতে সোসাইটিতে প্রবেশ সম্ভব নয়, ফজরের আজান পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় অভিযানে গেলেও শাম্মীকে না পেয়ে ফিরে আসেন।
মামলার অন্যান্য আসামিদের অবস্থান
রোববার রিমান্ড শেষে রিয়াদসহ চারজনকে আদালতে হাজির করা হয়। রিয়াদ স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন এবং অপুও দোষ স্বীকার করেন।
অন্যদিকে, আরও তিন আসামি—ইব্রাহিম হোসেন, সাদমান সাদাব ও সাকাদাউন সিয়ামকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্তদের সবাই ছাত্র সংগঠন ‘বাগছাস’ ও ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ নেতা ছিলেন। চাঁদাবাজির ঘটনায় তারা সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!