আন্তর্জাতিক সূচকে আবারও বায়ুদূষণে শীর্ষ তালিকায় উঠেছে ঢাকা। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীকে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর হিসেবে উল্লেখ করেছে আইকিউএয়ার।
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত নানা কারণে বিশ্বজুড়ে শহরগুলোতে বায়ুদূষণ বাড়ছে। দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকার বাতাস দূষিত। কিছুটা উন্নতি হলেও মঙ্গলবার সকালে আবারও দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজধানী।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ১৬৬, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
একই সময়ে পাকিস্তানের লাহোর ছিল তালিকার শীর্ষে। তাদের স্কোর ২০৬। এরপর তৃতীয় স্থানে সেনেগালের রাজধানী ডাকার, চতুর্থ স্থানে পাকিস্তানের করাচি এবং পঞ্চম স্থানে ভারতের দিল্লি। দিল্লির একিউআই স্কোর ছিল ১৫৪।
একিউআই স্কোরের মানদণ্ড অনুযায়ী, শূন্য থেকে ৫০ ভালো, ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি, ১০১ থেকে ১৫০ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ুদূষণ শিশু, অসুস্থ মানুষ, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় পাঁচটি উপাদানের ওপর ভিত্তি করে—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও২), কার্বন মনোক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও২) ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণজনিত কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসারসহ শ্বাসতন্ত্রের নানা জটিলতা এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!